শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
তুরাগের বউবাজারে ফুডকোর্ট মার্কেট উচ্ছেদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত  ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ কর্তৃক ছয়টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ম্যাগাজিন ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার; তিন শূন্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার তুরাগের বউবাজার মার্কেট উচেছদের প্রতিবাদে মানববন্ধন ট্রাম্পের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন ড. ইউনূস সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে’ সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে  প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্স’র কার্যকরি কমিটি (২০২৪-২০২৬)গঠন ১০ নভেম্বর ২০২৪ শহীদ নুর হোসেন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মহানায়ক : ডা. ইরান রাজধানী,তুরাগে ছেলের হাতে মা খুন অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না ডয়চে ভেলেকে বলেন, 

উন্নয়নে পিছিয়ে নেই পূর্বধলা, বাস্তবায়নে জাহিদুল ইসলাম সুজন

 

সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি :// নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ

নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজনের আলোয় আলোকিত পূর্বধলা উপজেলার প্রতিটি গ্রাম।তার উন্নয়নের কথা কিছুটা গল্পের ছোঁয়ার মত। আর এ উন্নয়নের আলোর ছোয়া লেগেছে উপজেলার প্রতিটি ওর্য়াডে। জাহিদুল ইসলাম সুজন এক জন সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। যিনি রাজনৈতিক আদর্শকে ধারণ করে সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন।

এছাড়া যিনি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, জুয়া,বাল্যবিবাহও মাদক নির্মূলে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। জাহিদুল ইসলাম সুজন চেয়ারম্যান ২০১৪ সালে প্রথম ও ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান সুজন তার ক্ষমতার ১০ বছর অতিক্রম হওয়ার মধ্যে দিয়ে উপজেলা বাসীকে ইতিমধ্যে তার ক্ষমতার মাধুর্যতা দেখিয়েছেন, পাশাপাশি উপজেলার একজন চেয়ারম্যান হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করছেন।

পূর্বধলা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেয়ারম্যান সুজন দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি তার আগামীর পরিকল্পনা দিয়ে ভরিয়ে দিতে চান গোটা সমাজ ব্যবস্তাকে।

নির্বাচিত হয়েই তিনি এলাকার অবহেলিত মানুষের জীবন মান উন্নয়নের কথা চিন্তা করে সকল ধরনের সহযোগীতা করে যাচ্ছেন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, মন্দির, পথশিশু,ছিন্নমূল সহ হতদরিদ্র মানুষদেরকে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, চলাচলের জন্য নির্মাণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, ড্রেনেজ নির্মাণসহ অনেকগুলো কাজ করেছেন যা এখন দৃশ্যমান।

সরেজমিনে চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজনের নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিগত বছরের চেয়ে বর্তমান চেয়ারম্যানের অধীনে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে অনেক তথা তার এলাকার প্রত্যান্ত অঞ্চলের অবহেলিত অনেক এলাকার মানুষ বর্ষার মৌসুমে জনসাধারনের দূর্ভোগের কোন শেষ ছিলনা ঠিক তখনই সুজন চেয়ারম্যান এর উন্নয়নের কিছুটা লেগেছে হাতছানি।

চেয়ারম্যানের অবদান বেশ কয়েকটি প্রাইমারি স্কুলের হতদরিদ্র ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ড্রেস দিয়েছেন। বেশ কয়টি ইস্কুলে মাটি বড়াট করে দিয়েছেন।এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের মেয়েদের জন্য গার্লস ফ্যাসিলিটিস রুম তৈরি করেছেন।বর্তমান সময় রাস্তা ঘাট,যোগাযোগ ব্যবস্তা আগের চেয়ে অনেক গুণ বেশি কাজ হয়েছে।

বর্তমান চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন জনগণ চলাচলের সুবিধার্থে বিভিন্ন রাস্তায় ব্রিজ কালর্ভাট তৈরি করে দিয়েছেন আর এতে করে হাজার ও মানুষের যোগাযোগ ব্যাবস্তা হয়েছে খুব সহজ। জাহিদুল ইসলাম সুজন গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছেন ও যাদের জমি আছে ঘর নাই তাদের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মানুষের বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হওয়ার দু’চোখে শুধু স্বপ্ন ছিলো মিলছিল না কারু কাছ থেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার আশা।এক সময় বিদ্যুৎ না থাকায় বাচ্ছারা ছিলো পড়া লেখায় পিছিয়ে এছাড়া ও বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের ভোগান্তির কোনো শেষ ছিলো না আজ সেই মানুষ গুলোকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দিয়েছেন এবং শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে জাহিদুল ইসলাম সুজনের হাতে।

জাহিদুল ইসলাম সুজন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এখন পযর্ন্ত এলাকায় বড় কোনো ধরনের জটিলতা দেখা যায়নি। উপজেলায় শতভাগ,বিধবা,বয়স্ক,প্রতিবন্ধি ভাতা নিশ্চিত করেন।মানুষ আবারো চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান জাহিদুল ইসলাম সুজনকে।

উপজেলার একাধিক তরুণ জানান, জাহিদুল ইসলাম সুজন চেয়ারম্যান হয়ে এলাকার তরুণ ও যুব সমাজের জন্য অনেক কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি উপজেলার যুব সমাজ যাতে মাদকের নেশায় আসক্ত না হয়, সেই জন্য মাদক নির্মূলসহ অনেক উন্নয়ন করেছেন।
তার কাছে যে কোন সমস্যা নিয়ে গেলে সমাধান করার চেষ্টা করেন। রাত-দিন যখনই যাওয়া হয় তার দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। আমরা যুব সমাজ আবারও চেয়ারম্যান হিসাবে তাকেই দেখতে চাই।

একজন পথচারী বলেন, পূর্বধলা বাজারের ভীতরে সমস্ত চলচলের রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা চেয়ারম্যান সাহেব করেছেন। রাস্তাঘাটে চলাচলের সুবিধার্থে ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন, মশা নিধন ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বর্তমানের মানুষ এর সুবিধা ভোগ করছে। এমন মহান চেয়ারম্যান পূর্বধলা উপজেলায় বারবার দরকার।

সরেজমিন ঘুরে এই প্রতিবেদকের সাথে একান্ত সাক্ষাত কারে চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, আমি ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে আমার কয়েকটি অঙ্গীকারের মধ্যে ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ,মাদক,বাল্যবিবাহ,দারিদ্রতা নির্মূল, সকল স্তরে শিক্ষার মানবৃদ্ধি ইত্যাদি। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সমাজের একজন কর্মী হিসাবে কাজ করছি।তিনি আরো বলেন, আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় নিষ্ঠার সাথে উন্নয়নের কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কতটুকু পেরেছি সেটা এই উপজেলার মানুষ ভালো জানে।আমি চাই আমার উপজেলার গরিব দুঃখী মানুষের জন্য কিছু করতে।আমাকে আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে উপজেলার উন্নয়ন করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি আপনাদের জন্য পূর্বধলা উপজেলাকে ডিজিটাল নগরিতে রূপান্তিত করবো। আমার উপজেলাতে কোন মাদক ব্যবসায়ী, কোন চাঁদাবাজ, কোন ভূমিদস্যু থাকবে না। আমি আপনাদেরকে কথা দিয়ে ছিলাম আমি আমার কথা কতটুক রাখতে পেরেছি আপনারা ভালো জানেন।
জাহিদুল ইসলাম সুজন আরো বলেন, রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমার নেতা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেনের নির্দেশে আমি আমার সামর্থ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এসব কার্যক্রম সামনেও অব্যাহত থাকবে।

উপজেলাবাসী মনে করেন চেয়ারম্যান একজন ব্যক্তি নয় তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি আমাদের অভিভাবক এবং উপজেলা পরিষদের যে উন্নয়ন করে যাচ্ছেন তা অামাদের ছেলে মেয়েদের কাছে মডেল হয়ে থাকবে।

১৮.০৪.২০২২

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com